বাংলাদেশে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এবং সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য এয়ারপোর্ট আছে। বাংলাদেশে ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ৫টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর, ৭টি স্বল্প পরিসরে (উন্নয়ন এবং অবতরণ) করা যায় এমন বিমানবন্দর আছে। নিচে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হলো :-
Airport of Bangladesh
ঢাকা বিমানবন্দর কোথায়
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর কোনটি
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
বাংলাদেশের কোথায় কোথায় বিমানবন্দর আছে
ঢাকা বিভাগ
১) শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর
শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট হলো বাংলাদেশী সবচেয়ে বৃহৎ ও আন্তর্জাতিক মানের এবং ঢাকা বিভাগের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। এটি ঢাকার কুর্মিতোলায় অবস্হিত। এ বিমানবন্দরের পূর্ববর্তী নাম ছিলো জিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। 1980 সাল থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, নব, রিজেন্ট সহ আরো অনেক বীমান সংস্থার মূল হাব এ বন্দর। বর্তমানে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণাধীন আছে।
২) তেজগাঁও বিমানবন্দর
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হওয়ার পূর্বে তেজগাঁও বিমানবন্দর ছিল বাংলাদেশ একটি অন্যতম বিমানবন্দর। তবে শাহাজালাল চালু হওয়ার পর এটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তাদের নিজস্ব কাজে ব্যবহার করে থাকে। শাহজালাল বিমানবন্দর শুরু হওয়ার পূর্বে এটি ছিল অন্যতম বিমানবন্দর পাকিস্তানি আমলেও এটি ব্যবহার হয়েছে।
৩) টাঙ্গাইল এয়ারপোর্ট
পূর্বেই সকল ধরনের কার্গো বিমান পরিবহনের জন্য এ বিমানবন্দর ব্যবহারিত হত। বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।
ঢাকা বিভাগ আরেকটি বিমানবন্দর হলো বাশিত এয়ারপোর্ট বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।
আরো পড়ুন:- মোবাইল দিয়ে আয়
চট্টগ্রাম বিভাগ
১) শাহ আমানত ইন্টারন্যাশনাল ইয়ারপোর্ট
চট্টগ্রাম বিভাগের এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর। এটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে খুব কাছে অবস্থিত। উনিশশো চল্লিশ সালের বিশ্বযুদ্ধে সময় ব্যবহারের জন্য এটি তৈরি করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর 1972 সালে ঢাকা চট্টগ্রাম ফ্লাইট এর মাধ্যমে এ বন্দরের আবার যাত্রা শুরু হয়। 1990 সালে এটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর।
২) কক্সবাজার বিমানবন্দর
চট্টগ্রাম বিভাগের আরেকটি বিমানবন্দর হল কক্সবাজার বিমানবন্দর। বর্তমানে এটি নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে খুব তাড়াতাড়ি এটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে। মূলত কক্সবাজারে পর্যটন নগরী হওয়ায় এ বিমানবন্দরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগের আরেকটি বিমানবন্দর হল কুমিল্লা বিমানবন্দর। বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। এছাড়াও জহুরুল হক এয়ারবেস সেনাবাহিনী জন্য ব্যবহার করা হয়। নোয়াখালী এয়ারফিল্ড বর্তমানে এটি নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে খুব তাড়াতাড়ি এটিকে বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হবে।
এছাড়াও আছে দোহাজারী এয়ারপোর্ট যা বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। 1940 থেকে 1944 সাল পর্যন্ত যুদ্ধের সময় এটি ব্যবহার করা হতো। আরেকটি এয়ারপোর্ট হল চকোরিয়া এয়ারপোর্ট বর্তমানে এটিও বন্ধ। ফেনী এয়ারফিল্ড বর্তমানে এটি ও বন্ধ অবস্থায় আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ব্যবহার করা হতো। হাটহাজারী এয়ারফিল্ড বর্তমানে এটি ব্যবহার করা হয় না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ব্যবহার করা হতো।
খুলনা বিভাগ
১) যশোর বিমানবন্দর
বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের অন্যতম একটি বিমানবন্দর হল যশোর বিমানবন্দর। এটি অন্যতম একটি পুরনো বিমানবন্দর। মুক্তিযোদ্ধের সময় এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। বর্তমানে এটি একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসাবে কাজ করছে। পাকাপাকি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের কাজেও এটি ব্যবহার করা হয়।
২) খানজাহান আলী ইয়ারপোর্ট
খুলনা বিভাগের নির্মাণাধীন আরেকটি বিমানবন্দর হল বিমানবন্দর। এটি বাংলাদেশের খুলনা শহরের বাগেরহাটে অবস্থিত। আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি এ বিমানবন্দরে কাজ শুরু হয়।
রাজশাহী বিভাগ
১) শাহ মাখদুম এয়ারপর্ট
রাজশাহী বিভাগের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ এয়ারপোর্টে এটি। মূলত আভ্যন্তরীণ কাজে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা হয়।
২) ঈশ্বরদী এয়ারপোর্ট
ঈশ্বরদী য়ারপোর্ট রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত। 1996 সালের পর এটি বন্ধ অবস্থায় আছে।
পাশাপাশি এ বিভাগের আরো দুটি হলো বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ এয়ারপোর্ট। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার বেজ হিসাবে এটি কাজ করে।সিরাজগঞ্জ ইয়ারপোর্ট বর্তমানে বন্ধ অবস্থায় আছে।
রংপুর বিভাগ
রংপুর বিভাগের অন্যতম একটি বিমানবন্দর হলো সৈয়দপুর বিমানবন্দর।এয়ারপোর্টটি এটি নীলফামারীতে অবস্থিত। অন্য আরেকটি ইয়ারপোর্ট হলো লালমনিরহাট বিমানবন্দর। এটি মিলিটারীর কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।এ বিভাগের অন্যতম একটি বিমানবন্দর হলো হল ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময় এটি ব্যবহার করা হয়। 1980 সালের পর এটি বন্ধ অবস্থায় আছে।
সিলেট বিভাগ
সিলেট বিভাগের অন্যতম একটি বিমান বন্দর হল ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর । 2002 সালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবেকবে কাজ শুরু করে। এ বিভাগের আরেকটি বিমানবন্দর হলো শমশেরনগর বিমানবন্দর। সীমান্তের অনেক কাছে হওয়ায় বর্তমানে এটি বন্ধ অবস্থায় আছে।
বরিশাল বিভাগ
বরিশাল বিভাগের অন্যতম একটি বিমান বন্দর হল বরিশাল বিমানবন্দর। বরিশালের আরেকটি বিমানবন্দর হল পটুয়াখালী বিমানবন্দর । মূলত পর্যটকদের সুবিধার জন্য এটি তৈরি করা হয়। বর্তমানে এটির নির্মাণকাজ চলমান এখনো পরিপূর্ণ হয়নি। সমুদ্রের কাছে হওয়ায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনী এটি ব্যবহার করে থাকে।
1 মন্তব্যসমূহ
Bravesst
উত্তরমুছুন