(Online Income) অনলাইন থেকে আয়:-
আমরা সবাই মোটামুটি অনলাইন থেকে আয় করতে চাই। অনলাইনের আয় এমন এক ধরনের আয় যা শুরুর পর থেকে পরবর্তী সময় ধরে আয় চলতে থাকে। একজন মানুষের জীবনে অনলাইন থেকে ইনকাম বড় ভূমিকা রাখতে পারে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য নিজেরা এগুলো করা খুবই সহজ ও তার জন্য এটা সুবিধাজনক ও মূল্যবান।
আপনারা দেখবেন ইউটিউব বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে নানা ধরনের ভিডিও বা কনটেন্ট এর মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে যে ভিডিও দেখে আয় করুন করুন, কোড বসিয়ে আয় করুন বা অন্যকিছু কিন্তু এটা সত্য যে এগুলো ফেক এগুলোর মাধ্যমে মূলত আয় করা যায় না আর যদিও বা যাই তাহলেও
তা উইথড্র করা যায় না। তাই আপনি যদি সত্যিকারভাবে আয় করতে চান তাহলে আমার দেওয়া উপদেশ গুলো অনুসরন করুন। আমরা অনেক ভাবেই আয় করতে পারি।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করব
অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়
অনলাইনে আয় করার সাইট
অনলাইনে আয় করার ওয়বসাইট
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট
মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার অ্যাপ
মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সফটওয়্যার
এক) ইউটিউবিং।
দুই) ব্লগিং।
তিন) ফটোগ্রাফি।
চার) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
পাঁচ) ফ্রিল্যান্সিং।
ছয়) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
সাত) ট্রেনিং এর কাজ করা।
আট) ভিডিও এডিটিং।
আসুন এবার প্রথমটাতে ইউটিউবিং হলো আয় করার অন্যতম একটা বাস্তব উৎস। এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজভাবে একটু পরিশ্রমের মাধ্যমে আয় করতে পারি। আপনি যদি একজন ছাত্র বা ছাত্রী হন। আপনার জন্য আয় করার সর্বোত্তম উৎস হলো ইউটিউবিং। এখানে আপনি যে কোন একটা বিষয় কে বেছে নিয়ে ওই বিষয়ের উপর নানা ধরনের ভিডিও পোস্ট করতে পারেন।
ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম
কিভাবে টাকা ইনকাম করব
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করুন
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
(YouTube) ইউটিউবিং:-
আপনার ভিডিও হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষ দেখবে। ইউটিউব এর শর্ত অনুযায়ী আপনি যদি এক বছরের ভিতর আপনার ইউটিউব চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এই শর্ত পূরণ করতে পারেন। তাহলে আপনি আয় করার জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। এরপর আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এবার আসুন 2 নাম্বার বিষয় ব্লগিং অন্য একটা জনপ্রিয় ও বাস্তবসম্মত আয় করার উৎস।আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তাকে যে কোন একটা বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন এবং সেগুলো আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারেন।
(Blogging) ব্লগিং:-
আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন আমরা গুগলে নানা বিষয় সার্চ করি আমাদের সার্চের ফলাফল গুলো বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট থেকে গুগল নিয়ে এসে আমাদের সামনে প্রদর্শন করে। তো আপনি যদি এভাবে ব্লগে গিয়ে ভালোভাবে লিখতে থাকেন একটা সময় পর আপনি অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারেন ও এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। Blogger.com থেকে আপনি ফ্রিতে একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন। বর্তমান পৃথিবীতে ব্লগিং এখন অনেক জনপ্রিয় এবং এর মাধ্যমে অনেকেই আয় করছে।
(Phography) ফটোগ্রাফি:-
এখন তৃতীয় বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলি আপনার যদি একটা ক্যামেরা থাকে, আর আপনি যদি ছবি তুলতে ভালোবাসেন আপনি আপনার ছবিগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের মাধ্যমে ছবিগুলো বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
(Video additing) ভিডিও এডিটিং:-
ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে আমরা অনলাইন থেকে আয় করতে পারি। আমরা নিজের জন্য বা অন্য কোন একটা কোম্পানির জন্য তাদের ভিডিওগুলো এডিটিং করে দিতে পারি। এর ফলে আমরা তাদের কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দাবি করতে পারি যেটা আমাদের আয়ের উৎস হবে। বর্তমানে ভিডিও এডিটিং করার জন্য নানা ধরনের সফটওয়্যার পাওয়া যায় এবং এগুলো গুগল প্লে স্টোরে অ্যাভেলেবল। বর্তমানে আমরা আমাদের হাতের মোবাইল ফোন দিয়ে ও ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারি। যেমন কাইনমাস্টার দিয়ে আমরা মোবাইল দ্বারা এই ভিডিওটি ডিং করতে পারি।
(Affiliate marketing) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:-
এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে আমরা এমন একটা ব্যবসা কি বুঝি যেখানে আমার কোন পূজির বা দোকানের দরকার হয় না অন্য একজনের পুঁজি বা দ্রব্য আমি বিক্রি করে দেওয়ার কারনে বিক্রি করার কারণে একটা নির্দিষ্ট পরিমান লভ্যাংশ পেয়ে থাকি এটি হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আমরা আলিবাবা, অ্যামাজন বা অন্যান্য ব্যবসার রিলেটেড ওয়েবসাইটগুলোকে চিনি সবাই, বা আমাদের দেশের দারাজ কে আমরা অনেকেই চিনি। এগুলো মূলত ব্যবসা রিলেটেড ওয়েবসাইট। এইসব ওয়েবসাইটে নানা ধরনের পণ্য বা দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন করা হয়। আমরা যদি ওই সব ওয়েবসাইটে নিজেদের একটা এফিলিয়েট এজেন্ট কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারি তাহলে তাদের বিভিন্ন পণ্যের লিংক যদি আমি আমাদের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করি এবং আমার ওই লিঙ্ক দ্বারা কেউ যদি ওই সকল ওয়েবসাইট থেকে কোন ধরনের পণ্য বা দ্রব্য ক্রয় করে তাহলে আমি এর কারনে একটা নির্দিষ্ট অংশ লভ্যাংশ পাব আর এটাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যার মাধ্যমে আমরা অনলাইন থেকে আয় করতে পারি।
(Social media marketing) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং:-
সোসাল মিডিয়া বলতে আমরা মূলত ফেসবুক টুইটার লিঙ্কডইন বা অন্যান্য সাইট গুলোকে বুঝে থাকি। এইসব সাইটগুলোতে কারণে-অকারণে লাখ লাখ ভিসিটর প্রতিদিন ভিসিট করে থাকে। আমরা যদি এইসব সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পেজ খুলি এবং সেখানে আমাদের দোকানের বা অন্য যেকোনো জায়গায় বিভিন্ন ধরনের পণ্য প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করি। তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর দেখা যাবে যে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য গুলো বিক্রি করতে পারবো এবং মানুষ এর মাধ্যমে কিছু কিনতে আগ্রহী হবে। যেটাকে আমরা সোসাল মেডিয়া মারকেটিং বলছি এবং এর মাধ্যমেও আমরা অনলাইন থেকে আয় করতে পারি।
(Freelancing) ফ্রিল্যান্সিং:-
ফ্রিল্যান্সিং হল বর্তমান পৃথিবীতে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং একটি বাস্তব সম্মত আয়ের উৎস যা আমরা অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য নানা ধরনের সাইট রয়েছে যেমন আপওয়ার্ক, ফাইবার ওয়েবসাইট। এরকম ধরনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাদের দেশের তরুণরাসহ পৃথিবীর নানা দেশের তরুণরা লাখ লাখ টাকা আয় করছে। এ ধরনের ওয়েবসাইটে নানা ধরনের হাজার হাজার কাজ কেউ পোস্ট করছে আবার ফ্রিল্যান্সাররা তাদের ক্লায়েন্টের ইচ্ছা অনুযায়ী সেই কাজগুলো করে দিচ্ছে যেমন কেউ ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কাজ করছে, আবার কেউবা লোগো তৈরি করছে, আবার কেউবা কারোর একটা এসাইনমেন্ট করে দিচ্ছে, কেউ বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ করছে এভাবে নানান ধরনের কাজ করছে। যার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের ক্লায়েন্টের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাচ্ছে যেটিকে আমরা ফ্রিল্যান্সিং বলছি এবং এটি অনলাইনের মাধ্যমে আয় করার অন্যতম এবং প্রধান একটি উৎস।
ট্রেনিং এর কাজ করা:-
আমি যদি একজন কে কোন বিষয়ে এক্সপার্ট হয় এবং অন্যদের প্রশিক্ষণ দিতে পারি তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউটিউব এর মাধ্যমে আমি আমার কাজের বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে পারি। যার ফলে আমি ইউটিউব ফেসবুক থেকে আয় করতে পারি। পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকেও টাকা আয় করতে পারি। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যক্তি চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা, ট্রাভেল ও অন্যান্য বিষয়ে নানা ধরনের ট্রেনিং দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা আয় করছে।
এছাড়াও আরও অনেক ধরনের বিষয় আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি বাস্তবিকভাবে আয় করতে পারেন। চতুর্থ বিষয় হলো আপনি আপওয়ার্ক,ফাইবার বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে অন্যের কাজ করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এভাবে আপনি আপনার সময় গুলোকে ভালো কাজে লাগিয়ে তার দ্বারা বাড়তি কিছু আয় করতে পারেন।
2 মন্তব্যসমূহ
Excellent
উত্তরমুছুনEst
উত্তরমুছুন